ট্যাংকের শৈশব কেটেছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে । একটা ট্যাংক বনাম ট্যাংক লড়াই ও হয়েছিলো কামব্রাইতে- কিন্তু সেটা নেহাৎ ই অ্যাকাডেমিক। যুদ্ধ নয়, যুদ্ধের মহড়া। আর নাৎসি বাহিনী পোল্যান্ড আক্রমন করে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের অফিসিয়াল খাতা খুলল ১৯৩৯ সালে। এই অন্তর্বর্তী একুশ বছরে ট্যাংক নিয়ে কিছুটা চিন্তা ভাবনা হয়েছিলো।
ট্যাংকের কর্মটা কি ?
-------------------
জার্মানীতে গুডেরিয়ান লিখলেন আখটুঙ্গ প্যান্জার আর ব্রিটেইনে লিডেলহার্টও তাঁর ভবিষ্যতের ট্যাংক যুদ্ধের থিসিস লিখলেন। বিশেষত: ব্রিটেইনে ট্যাংক নিয়ে কিছুটা ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছিলো। ফ্রান্সে, এক তরুন দ্য গলও লিখলেন মোবাইল যুদ্ধের বিবরণ (Vers l`Armee de Metier) । এঁরা সকলেই আগামী দিনের যুদ্ধ যে হবে ট্যাংক নির্ভর সেই নিয়ে বই লিখছেন। এঁদের উল্টো মেরুতে তখনকার দিনের তাবৎ জাঁদরেল জেনারেলেরা যাঁরা বিশ্বাস করতেন দুর্গ প্রাকারের দিন শেষ হয় নি।
ফরাসি জেনারেল Chauvineau লিখলেন একটি বই। তার ইংরাজী নাম is an invasion still possible? । এর মুখবন্ধ আবার লিখেছিলেন মার্শাল পেঁত্যা। লেখক বলছিলেন ট্যাংক আর এরোপ্লেন যতই কেনো উন্নত হোক না কেন লড়াই হবে ইনফ্যাϾট্রর সাথে ইনফ্যাϾট্রর। তাই ফ্রান্সে চাই চীনের দেওয়ালের মতন সুদীর্ঘ দুর্গ প্রাচীর।
মোটামুটি একমত সকলেই। যুদ্ধ হবে পদাতিক সেনাদের মধ্যেই। হ্যাঁ, ট্যাংকের ও প্রয়োজন আছে। তবে সেটা নেহাৎই সাপোর্টিভ রোল। যেমন ট্রেঞ্চ ডিঙিয়ে পার হওয়া। পদাতিক সেনাদের সহায়ক, তাই স্পিড হওয়া চাই কম। ঘন্টায় ছয় মাইলই যথেষ্ট। আর বিপক্ষের ট্যাংকের সাথে লড়াই করবে কে ? কেন ? ট্যাংক বিধ্বংসী কামান রয়েছে। ট্যাংক বনাম ট্যাংকের যুদ্ধকে উড়িয়ে দিলেন এই সব স্ট্র্যাটেজিস্টেরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন